সংলাপের পরই সক্রিয় হচ্ছে নিষ্ক্রিয় ছাত্র সংগঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য সংলাপের আহ্বান জানানোর পরই দৃশ্যমান হচ্ছে নিষ্ক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলো। এক যুগের বেশি সময় ধরে যে সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর অস্তিত্ব ছিল না, হঠাৎ করেই রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বানে নিজেদের তালিকা ও গঠনতন্ত্র জমা দিচ্ছে তারা। তাছাড়া হঠাৎ করেই ৩টি সংগঠন তাদের কমিটি ঘোষণা করেছে।

জানা গেছে, নির্বাচনী সংলাপ উপলক্ষে মোট ১০টি ছাত্র সংগঠন তাদের কমিটির তালিকা ও গঠনতন্ত্র জমা দেয়। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট লেলিনবাদী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই নিজেরদেরকে প্রকাশ করেছে।

তবে বাকি তিনটি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ও জাতীয় ছাত্র সমাজ নামের ছাত্র সংগঠনগুলো নতুনভাবে নিজেদেরকে প্রকাশ করছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। মাকর্সপন্থী এ সংগঠনটি গত ২৭ জানুয়ারি হঠাৎ বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদুল কবির বাধনকে আহ্বায়ক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা জমা দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। তালিকা থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর কমিটি অনুমোদন দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোড়ল জিয়াউর রহমান। তবে এতদিন অন্ধকারেই ছিলো ছাত্র সমাজ নামের এই ছাত্র সংগঠন।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী নামের সংগঠনটি বছরে নতুন শিক্ষার্থীরা আসলে একবার ব্যানার নিয়ে টুকিটাকিতে দাড়াতে দেখা যায়। যদিও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে যে ব্যানার নিয়ে দাড়িয়েছিলো সেটিতেই ভুল লেখা থাকায় সমালোচনার মধ্যে পড়ে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, নতুন করে সক্রিয় হওয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এমন সংগঠন আছে যারা ১ যুগের বেশি সময়ে ধরে ক্যাম্পাসে অস্তিত্ব ছিলো না। হঠাৎ করেই এমন সংগঠনের উদ্ভব হওয়ায় কিছুটা চমকে যাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে রাকসু নির্বাচনী সংলাপ কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, যে সংগঠনগুলো কমিটির তালিকা ও গঠনতন্ত্র জমা দিচ্ছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এরপর সংঠনগুলোর সাথে সংলাপের মাধ্যমে নীতিমালা তৈরি করা হবে। সেই নীতিমালায় যারা পড়বে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। অবশ্যই ছাত্রসংগঠনগুলোর বিষয়ে খোজ খবর নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top