আবারও চালু হবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন

তিন যুগ পর আবার চালু হবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেলওয়ে স্টেশন। আবার প্লাটফর্মে থামবে ট্রেন। আজ (২৩ এপ্রিল) বাকৃবি রেলওয়ে স্টেশন পুনরায় চালু করার কার্যক্রম হিসেবে নতুন করে প্লাটফর্ম নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাকৃবিতে আসেন বাংলাদেশ রেলওয়ের (ইস্ট) জেনারেল ম্যানেজার মাে. জাহাঙ্গীর হােসেন এবং তার টিম। তারা প্লাটফর্মের নকশা এবং বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করার জন্যে আজ পরিদর্শনে আসেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হােসেন এবং সহযােগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, অনেক প্রতিক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রেল স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ অতি শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। আজকে আমাদের অনুরােধে সরাসরি এসেছিলেন বাংলাদেশ রেলের জেনারেল ম্যানেজার মাে. জাহাঙ্গীর হোসেন সহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। ডিজাইনসহ সব বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুত আমাদের প্রিয় ছাত্রছাত্রীবৃন্দ শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কৰ্মচারি সহ সকলে এখান থেকেই আন্তঃনগর ট্রেন সহ সকল ট্রেনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবে। একটি শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহর পর্যন্ত চলার বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহােদয়ের সাথে কথা হয়েছে। আশাকরি সেটিও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশ থেকে আসা প্রায় সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। এছাড়া ক্যাম্পাসের পাশেই রয়েছে কয়েকটি গ্রাম। যেখানে বসবাস করে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলস্টেশনটি চালু হলে সবার ভোগান্তিই অনেকটা কমে যেত। কারণ ময়মনসিংহ জেলার সঙ্গে আশপাশের জেলার সড়ক ব্যবস্থা বেহালের কারণে রেলপথই এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীসহ সবার পছন্দ রেলপথ।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন টিকিট টেকার (টিটি) উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনের কেবিনের ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি নিহত হন। এরপর ৩৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে সারা দেশে রেলস্টেশনগুলো। পরে বাকি সব রেলস্টেশন চালু হলেও বন্ধ থাকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রেলস্টেশনটি।

Share this post

scroll to top