পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় কালাম সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে কুকুর বলায় প্রতিপক্ষের এক পরিবারের ছয়জনকে কামড়িয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছেন- ওই গ্রামের সাত্তার শিকদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম (৫০), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২০), ছেলে আল-আমিনের ছয় মাসের শিশুপুত্র রাইয়ান, সাইদুল শিকদারের ছেলে শাকিল (১৪), আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী (২৭) ও সুলতান শিকদারের ভাগনে কাজল হোসেনের মেয়ে তাসমিম (১২)। আহত সবাই দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- একই এলাকার মৃত কাদের সরদারের ছেলে মো. কালাম সর্দার (৫০), তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), মেয়ে সীমা বেগম (৩০), সুখী বেগম (২০), ছোট জামাই মো. মাইদুল ইসলাম (৩০), সালাম সরদার (৬০), তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০), মেয়ে মানসুরা বেগম (২২) ও মনি আক্তার (১৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে কালাম সর্দার জব্বার মাস্টারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাবুল হাওলাদারের দশ বছরের ছেলে বিজয় তাকে ‘কুত্তা কালাম’ বলে ডাক দেয়। এরপর বাড়িতে গিয়ে মেজ ভাই সালাম সর্দারকে বিষয়টি জানান কালাম। এরপর সাত্তার শিকদার ও আনোয়ার শিকদারের পরিবার ওই ছেলেকে এ কথা বলতে শিখিয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ করেন তারা। কারণ, তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে আগে থেকে বিরোধ চলছিল। এরপর সবাই দলবলে সাত্তার শিকদার ও আনোয়ার শিকদারে বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, পাশের বাড়ির এক ছেলে কালাম সর্দারকে গালি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ধারণা করেন, এটা ওই ছেলেকে আমরা শিখিয়ে দিয়েছি। তাই বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের ছয়জনকে কামড়ে আহত করেছেন।
তবে অভিযুক্ত কালাম সর্দারের পরিবারের সদস্যরা কামড় দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজান সর্দার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সালাম ও কালামের পরিবার অত্যন্ত খারাপ। এরা বিগত দিনেও মৌলভী আ. বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়িয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।