ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মুরগীর খামারী ইব্রাহিমের স্ত্রীকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে মারপিট করে দিনদুপুরে ১২শ মুরগী লুট নিয়েছে ৫০/৬০ জনের দুর্বৃত্তরা। লুট করা মুরগীর মূল্য ৬ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করেও কোন সহযোগীতা পায়নি বলে ক্ষতিগ্রস্ত খামারী অভিযোগ করেছেন।
মুরগী লুটের জন্য পুলিশ মুরগীর খাদ্য ব্যবসায়ী হারুনকে দায়ী করেছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল। বিকাল দিকে মুরগী লুটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, জয়পুর গ্রামের মুরগীর খাদ্য ব্যবসায়ী হারুনের কাছ থেকে নগদ ও বাকীতে খাদ্য নিয়ে ১২শ মুরগীকে খাবার দেন খামারী ইব্রাহিম। হারুন খাদ্যের দাম বেশি নেয়ায় অন্যত্র থেকে মুরগীর খাদ্য কিনতে শুরু করে।এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। হারুন স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে ৪ লাখ টাকার লিখিত অভিযোগ দেন। দাবীকৃত টাকা মিথ্যে প্রমানীত হওয়ার পর সুচতর হারুন থানায় ৬ লাখ টাকা দাবী করে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। থানার এ এস আই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ৬লাখ টাকার অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে উভয়কে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থানায় আসার জন্য বলেন।
হারুন পুলিশের কথা অমান্য করে সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার দিকে ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে এসে ইব্রাহিমের স্ত্রী শরিফা খাতুনকে বিদ্যুতে খুঁটির সাথে বেঁধে মারপিট করে ১২শ মুরগী লুট করে নিয়ে যায়। অসহায় ইব্রাহিম থানার এ এস আই শফিকুলের সহযোগীতা চেয়ে ব্যর্থ হন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে ইব্রাহিম কে জানানো হয় ওসি ফোন ধরছেন না।
খামারী ইব্রাহিম জানান, ১২শ মুরগীর দাম ৬ লাখ টাকার মত হবে। আমার স্ত্রীকে মারপিট করেসোনার গহনা নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যান।
ইব্রাহিমের স্ত্রী শরিফা খাতুন জানান, ৫০/৬০ জনের মত লোক এসে আমাকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে ফেলে মারপিট করে স্বর্নের কানের দুল গলার মালা ছিনিয়ে নিয়ে ১২শ মুরগী লুট করে নিয়ে যায়।
মুরগীর খাদ্য ব্যবসায়ী হারুন জানান, মুরগী অন্যত্র বিক্রি করায় ১২শ মুরগী নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেন। পুলিশকে না জানিয়ে কেন তিনি লোকজন নিয়ে গিয়ে ইব্রাহিমের খামার থেকে মুরগী লুট করে নিয়ে আসলেন এমন প্রশ্ন করা হলে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি ঐ খামারি।
থানার এ এস আই শফিকুল ইসলাম মুরগী লুটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মুরগীর খাদ্য ব্যবসায়ী হারুন তার লোকজন নিয়ে গিয়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী শরিফাকে মারপিট করে মুরগীগুলো লুট করে নিয়ে যায়। মুরগী লুটের সময় তাকে ফোন দেয়ার পরও কেন ঘটনাস্থলে যাননি এমন প্রশ্নের জবাবে এ এস আই শফিক বলেন আমি অন্য ডিউটিতে থাকায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি নীরবতা পালন করেন।