আগামী ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের হলগুলো বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে ছাত্রবাস ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিকেলে ৩টার দিকে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয়।
তবে ছাত্ররা এই বন্ধের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মাইনুলকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষে আহত ৫০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
ব্যবসায়ীদের সাথে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের ক্যাম্পাসের ভেতর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে রেডক্রিসেন্ট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে সকালে নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় ব্যবসায়ীদের সাথে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
সমস্যা মেটাতে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের ওপরও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে ব্যবসায়ীরা।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মঈনুল হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে সমস্যাটা মেটানো যায়। তবে মার্কেটে ভিড়ের জন্য সামনের দিকে যেতে পারিনি। আমরা এখন পুলিশ প্রসাশনের সাথে কথা বলব। প্রসাশনিক যে তৎপরতা আছে, সেটা চেষ্টা করব। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কথা শোনানোর চেষ্টা করছি আমরা। এ ঘটনায় কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে দোকানে কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ তিন ঘণ্টা ধরে চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।