রেডিও তেহরানের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রশংসায় ভাসলেন সাংবাদিকেরা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা (আইআরআইবি)’র বিশ্ব কার্যক্রমের বাংলা অনুষ্ঠানের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী রোববার (১৭ এপ্রিল) উদযাপন করা হয়েছে। ১৯৮২ সালের এ দিনে রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের ত্রাযা শুরু হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আইআরআইবি’র বাংলা বিভাগ আজ ৪০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

এ উপলক্ষে আজ বিকেলে তেহরানে বিশ্ব কার্যক্রমের প্রধান আহমাদ নওরোজির দপ্তরে বিশেষ অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘রেডিও তেহরানে কর্মরত সাংবাদিকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। একদিকে তারা ইরানে বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ করছেন, অন্যদিকে বাংলাদেশে ইরানের দূত হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। দুই দেশকে পরস্পরের কাছে তুলে ধরার গুরু দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত হয়েছে।’

তিনি আরও বেশি শ্রোতা ও পাঠকের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। নওরোজি বলেন, শ্রোতাদের সঙ্গে আরও বেশি সম্পর্ক জোরদার করতে প্রয়োজনে নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি রেডিও তেহরান প্রতি বছর আগের বছরের চেয়ে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে এবং আরও বৃহত্তর সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে।

আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআরআইবি’র বিশ্ব কার্যক্রমের উপমহাদেশ ও পূর্ব এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ হাসান নওরোজি। তিনি বাংলা বিভাগের প্রশংসা করে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে রেডিও তেহরান। এখনও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। অনলাইন সংস্করণেও রেডিও বাংলা অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের পরিচালক মুজতাবা ইব্রাহিমি। তিনি রেডিও বাংলা এবং পার্সটুডের কার্যক্রম ও সাফল্যের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রেডিও তেহরানে যারা কাজ করেন তারা দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাংবাদিক। তাদের কাজেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। মুজতাবা ইব্রাহিমি আরও বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতি মুসলিম দেশ বাংলাদেশের মানুষের যে অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে রেডিও তেহরানের জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে তা অন্যতম নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে। আর বাংলা ভাষায় প্রচারিত এই গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ইরানের মহান ইসলামি বিপ্লব। রেডিও তেহরান শ্রোতাদের মতামতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে রেডিও তেহরানের জাপানি বিভাগের পরিচালক ওয়ালিউল্লাহ কারাগানি বাংলা বিভাগের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন।

৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সাংবাদিকদের মধ্যে ড. সোহেল আহম্মেদ, গাজী আব্দুর রশীদ, মোহাম্মাদ আশরাফুর রহমান, মোহাম্মাদ আবু সাঈদ ও নেদা রাহিক রেডিও’র গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বাংলা কবিতা পড়ে শোনান সাংবাদিক নাসীর মাহমুদ ও আক্তার জাহান। আজকের দিনটি অত্যন্ত গৌরবের বলে মন্তব্য করেন তারা। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দি বিভাগের পরিচালক সাইয়্যেদ পারওয়ানে হোসেইনি, মালয় বিভাগের পরিচালক মোহাম্মাদ কানায়াতগার, বাংলা বিভাগের সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মাদ আমির হুসাইন ও মুহাম্মাদ বাবুল আখতার।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে বিশ্ব কার্যক্রমের প্রধান আহমাদ নওরোজি রেডিও তেহরান (বাংলা) ও পার্সটুডে (বাংলা)-এর সাংবাদিকদের হাতে সম্মাননাপত্র, ক্যালিওগ্রাফি ও গিফ্ট কার্ড তুলে দেন।#

Share this post

scroll to top