পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া তার চাকরির মেয়াদ বাড়াতে চাইবেন না বা বাড়ানো হলেও তা গ্রহণ করবেন না। বৃহস্পতিবার সুস্পষ্টভাবেই এমনটা জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার।
তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীপ্রধান চলতি বছরের নভেম্বরে তার মেয়াদ পূর্ণ করবেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি শেষ করতে দিনে। সেনাপ্রধান তার চাকরির মেয়াদ বাড়াবেন না বা বাড়ানো হলেও তা গ্রহণ করবেন না। যাই ঘটুক না কেন, তিনি ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নে বাবর বলেন, রাজনীতি নিয়ে সেনাবাহিনীর কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষ থাকবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, আমাদের ভূমিকাকে নিরপেক্ষ বলার চেয়ে অরাজনৈতিক বলাই ভালো।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধানের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে আইএসপিআর এ কথা জানায়। সাম্প্রতিক কোর কমান্ডার সম্মেলনে জেনারেল বাজওয়া বলেছিলেন যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার দায়দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সকল অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে ভূখণ্ডগত অখণ্ডগতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত কারো জন্য ক্ষতিকর বা কল্যাণকর নয়। এটি সশস্ত্র বাহিনীর সাংবিধানিক ভূমিকা এবং আমরা তা পূরণ করার চেষ্টা করছি।
কী অপরাধ করেছিলাম যে মধ্যরাত পর্যন্ত আদালত খোলা ছিল : ইমরান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) চেয়ারম্যান ইমরান খান জানতে চেয়েছেন, তিনি এমন কী অপরাধ করেছিলেন যার জন্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের সময় মধ্যরাত পর্যন্ত আদালত খোলা ছিল। পিটিআইয়ের পেশোয়ার সমাবেশে তিনি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
৯ এপ্রিলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সময়ে অনাস্থা ভোট হয়। ওই সময় পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কায়সার কোনো অনাস্থা ভোট আয়োজন না করে তা মধ্যরাত পর্যন্ত বিলম্বিত করেন। ওই সময় ইসলামাবাদের উচ্চ আদালত মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা ছিল, যাতে করে অনাস্থা ভোটের সাথে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ গ্রহণ করে কোনো আদেশ জারি করা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে আইন বিভাগের ওপর বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপের শঙ্কায় পদত্যাগ করেন পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কায়সার। ওই সময় নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের এমপি আয়াজ সাদিক পার্লামেন্টের ভারপ্রাপ্ত স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
ওই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইমরান খান জানতে চান, তিনি এমন কী অপরাধ করেছিলেন যে মধ্যরাত পর্যন্ত আদালত খোলা রাখতে হলো? তিনি কী কোনো আইন ভেঙ্গেছিলেন? তাহলে কেন এমনটা করল আদালত। অর্থাৎ, তিনি জানতে চেয়েছেন কেন আইন বিভাগের ওপর পাকিস্তানের আদালত হস্তক্ষেপ করল।
এ সময় তিনি আরো বলেন, পারভেজ মোশাররফের আমলে স্বাধীন বিচার বিভাগের দাবিতে হওয়া আন্দোলনে তিনি জেলে গিয়েছিলেন। তিনি আইনজীবী ও বিচারপতিদের শ্রদ্ধা করেন।
সূত্র : জিও নিউজ