গত দুই বছরে প্রাণঘাতি মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঈদ উৎসবে ভাটা পড়েছিল। ছুটির বদলে ছিল বিধি-নিষেধ। তবে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।
সরকারি কর্মদিবসের হিসাব অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শেষ অফিস। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর ১ মে রোববার মে দিবসের ছুটি। ২ থেকে ৪ মে ঈদের ছুটি। মাঝে একদিন বৃহস্পতিবার (৫ মে) কর্মদিবস। এরপর ফের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। মাঝে একদিন ছুটি ঘোষণা করলে টানা নয় দিনের বিশাল ছুটির ফাঁদে পড়বে দেশ।
৫ মে সরকার ছুটি ঘোষণা না করলেও এদিন অফিস খুব একটা স্বাভাবিক হবে না বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই এক দিনের ছুটির জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন নিজ নিজ দফতরে। অন্যদিকে আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টসে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যেই অনেকেই প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফেরার টিকিট বা বিকল্প ব্যবস্থাও করে রাখছেন। অন্যদিকে মানুষজন যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সে ব্যাপারেও প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে আগাম প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে।
মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়িতে ফিরে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন সেজন্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষগুলোকে ঝামেলামুক্তভাবে গন্তব্যে ফেরানোর আশা প্রকাশ করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।