রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও অর্থপাচারের মামলায় জামিন পেলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
রোববার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলায় এবং ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অর্থপাচারের মামলায় শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
এদিন অর্থপাচারের মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য সকালে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলায় গত বছরের ২৪ মার্চ তার তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ।
এরপর করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবং সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য বেশ কয়েক দফা রিমান্ড শুনানি পেছায়।
সম্রাটের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউট আজাদ রহমান এর বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তার জামিনের আদেশ দেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। আজ অস্ত্র এবং অর্থপাচার এ দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর হলো। মাদক এবং দুদকের মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি অতি শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
এ চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।