‘শুধু বিসিএস নিয়ে চিন্তা করলে হবে না, গবেষণার দিকেও ঝুঁকতে হবে’-বাকৃবি উপাচার্য

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিসিএসের দিকে বেশি ঝুঁকছে। আমাদের শুধু বিসিএস নিয় চিন্তা করলে হবে না, গবেষণার দিকেও ঝুঁকতে হবে। গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষকরা করোনার মধ্যেও গবেষণা কাজ চালিয়ে গেছেন। এর কারণেই বাকবি বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে। এজন্য সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের সহযাগিতায় আমি বাকৃবির গবষণা খাতের অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাবো।’

গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক বার্ষিক কর্মশালার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এসব কথা বলেন।

ড. লুৎফুল হাসান আরও বলেন, বাকৃবির কোনো শিক্ষক গবেষণা প্রকল্প ছাড়া থাকবে না, সকল গবেষককে পহেলা জুলাই থেকে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এসব প্রকল্প গবষণা খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই দেশ ৩০ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারবে সই চিন্তা করে আপনাদের গবষণা কাজ চালিয়ে যেতে হবে। মৎস্য গবেষনা ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে আছি। এটি আরও বাড়াতে হব। অধিক পরিমান মাছ যেন রপ্তানি করতে পারি সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মমিনুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবষণা কার্যক্রম ও এইচ-ইনডেক্স মানের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবছর বাউরেস গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জন গবষককে ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইম্প্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প থেকে ‘ইমপ্যাক্ট-ফ্যাক্টর জার্নাল-এ গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করায় প্রকাশনা খরচ বাবদ ১৫ জন গবষককে ১০০ ডলারর সমপরিমাণ টাকা প্রকাশনা ফি হিসেবে প্রদান ও দুই জন শিক্ষককে মরাণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২২জন শিক্ষককে ‘বেস্ট প্রেজেন্টার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামারি পর্যায়ের ৪ জন উদ্যোক্তাকে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২২’ পুরস্কৃত করা হয়।

Share this post

scroll to top