নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আসন্ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এনিয়ে দলটিতে বিভক্তি তৈরি করেছে নেতারা। যে কারণে দুর্গাপুর আওয়ামীলীগে কিছু নামধারী আওয়ামীলীগ নেতা দলটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী তৈরিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, নেত্রকোনা-১ আসনের (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) বারবার নির্বাচিত সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে সোমবার বিকেলে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে পৌর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন এমপি পুত্র শাহ্ কুতুব উদ্দিন তালুকদার রুয়েল।
এসময় জালাল উদ্দিন তালুকদারের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ আলী, রুহিত মেম্বার, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, জালাল মেম্বার, জালাল তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদ নেতা বুলবুল আহমেদ, পৌর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা আ‘লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন পলাশ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় আসন্ন উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শাহ্ কুতুব উদ্দিন তালুকদারকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে নিবার্চন করার দাবী জানানো হয়।
এদিকে দলীয় অপর একটি সূত্র জানায়, ২০১২ সনের ২৫ সেপ্টেম্বর জালাল তালুকদার নিজ ঘরে রিভলভারের গুলিতে মৃত্যুর পর ভাগ্য খুলে যায় শ্যালক আলা উদ্দিন আলালের। এরপর ছবি বিশ্বাসের ক্ষমতাকালে ২০১৪ সালে নামমাত্র মূল্যে আলালের বালু ঘাট ইজারার মধ্য দিয়ে উত্থান শুরু হয়। দলীয় পদ পদবি ছাড়াই ২০২১ সনে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র বনে যান।
বর্তমানে তিনিই দুর্গাপুরের বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ভক্তদের বিভিন্ন ব্যানার ইতিমধ্যে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এব্যপারে দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, আমি এবারও সভাপতি প্রার্থী। দলীয় মানুষ আমাকেই চায়। এ সময় অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে দুর্গাপুর পৌর মেয়র আলালকে অযোগ্য বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন তার ভাগ্নি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছেন। ভাইগ্নাও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলো। এরা পরিবারের সবাই নৌকার বিদ্রোহী এটা সবাই জানে। তাহলে মেয়র কিভাবে মনোনয়ন পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, টাকা থাকলে কত কিছুই হয় আপনিও জানেন। আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার নেত্রীর উপর ভরসা আছে। জেলার নেতাদের উপর আমরা ভরসাা আছে। তারা জানেন কে কেমন। তবে নতুনরা আসতে চায় আসবে। কিন্তু বিদ্রোহী যারা তাদের বিষয়ে কথা আছে। দলের বিপক্ষে গিয়ে আবার দলের পদ কিভাবে দাবী করে ?