বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পূবালী ব্যাংক শাখার লকার থেকে পনর ভরি স্বর্ন গায়েব হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো: শফি উল্লাহ আজ (২১ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে স্বর্নের মালিক ফারহানা ইয়াসমিন রবিবার ক্ষতিপুরন চেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে আন্চলিক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো: নজরুল ইসলাম ফরাজীকে আহ্বায়ক এবং একই ব্রান্চের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (আইন) মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রিন্সিপাল অফিসার মো সাফায়েত উল্লাহকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী পাচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিবেন বলে জানিয়েছেন বাকৃবি শাখা ব্যবস্থাপক মো: আনিসুর রহমান।
সোমবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় বাকৃবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মহির উদ্দিন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল মো: শফি উল্লাহর স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নং লকারে পনর ভরি স্বর্ন সংরক্ষণ করেন।লকার আর খুলেন নি।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো: আনিসুর রহমান বলেন, লকার মালিক তিন বছর আগে লকারটি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি আর লকার খুলতে আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে স্বর্ন গায়েব হবার কোন সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে মো: শফি উল্লাহ বলেন, শাখা ব্যবস্থাপক নিজে এবং তার স্টাফদের রক্ষা করার জন্য এসব কথা বলছেন।
বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো: শফি উল্লাহ জানান, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আমার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নং লকারে পনর ভরি স্বর্ন সংরক্ষণ করে। এরপর তিনি আর লকার খুলেননি। রবিবার (২০ মার্চ)দুপুর দেড়টায় ব্যাংকের লকার খুলে দেখেন স্বর্ন নেই। তখন বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বিষয়টি অবহিত নয় বলে জানান।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো: আনিসুর রহমান বলেন, লকার মালিক তিন বছর আগে লকারটি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি আর লকার খুলতে আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। তাছাড়া লকার এখনো অক্ষত, চাবি ছাড়া খোলার কোন সুযোগ নেই।এখান থেকে স্বর্ন গায়েব হবার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি রহস্যজনক বলেন শাখা ব্যবস্থাপক।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো: নজরুল ইসলাম ফরাজী বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।