ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে আবারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা খসড়া প্রস্তাব যুদ্ধ বন্ধের জন্য ছিল না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাধারণ পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ কেন ভোটদানে বিরত ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খসড়া প্রস্তাবটি পড়লে দেখবেন, এটা যুদ্ধ বন্ধের জন্য নয়। কাউকে দোষারোপের জন্য এটি। আমরা শান্তি চাই। আমরা চাই না, কোথাও যুদ্ধ হোক। এ জন্য আমরা জাতিসংঘে বলেছি, যে দুর্ঘটনা হচ্ছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সৈন্য সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি প্রস্তাবে রাশিয়া ভেটো প্রয়োগের পর সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বিশ্বের ১৪১টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ। আর প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া এবং সিরিয়া। ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, ভারত ও চীনসহ ৩৫ দেশ।
সব দেশ জাতিসংঘের সনদ মেনে চলবে, এমন প্রত্যাশা করে আব্দুল মোমেন বলেন, এই সনদ অনুসরণ করে আমাদের অগ্রসর হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সব সময় আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। এই সংঘাতের যেন শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতি আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে। সে জন্য ওনাকে আমরা এই সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছি।