ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বর্তমান অবস্থা ভালো নেই-আবেগাপ্লুত কন্ঠে কথা গুলো বলছিলেন হরিরামপুর ইউনিয়নের আবু সোহরাব।
আবু সোহরাব ১৯৮১ সালে জালাল /জাহাঙ্গীর গ্রুপের ত্রিশাল থানা ছাত্রলীগের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা, ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে এজিএস পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী, হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪ বারের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক, সাবেক থানা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন। এছাড়ও তিনি সাবেক ত্রিশাল ইউসিসির ভাইস-চেয়ারম্যান ও হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।
সম্প্রতি হরিরামপুর ইউনিয়নের গোলাভিটা মোড় এর এক চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবু সোহরাবের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। পরে তিনি ধীরে ধীরে তার পরিচিতি তুলে ধরে আওয়ামীলীগের অতীত বর্তমান নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দলের ক্লান্তিকালে রাজপথে থেকেছি, জীবন বাঁজী রেখে দলের নেতৃত্ব দিয়েছি, মামলা হয়রানীর শিকার হয়েছি, আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় সেনা সদস্যদের হাতে ১৯৯৫ সালে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছি তখন ত্রিশালের আওয়ামীলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন ছিল। সেই রাজনৈতিক ফসল আজকের এই সু-দিন। এই সুদিনে ত্যাগী নেতারা আজ অনেক দ‚রে। দ‚ষ্কৃতি লোকের হাতে আমার দু-চোখের আলো হারিয়েছি কিন্তু আজো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলো বুক থেকে এখনো হারায়নি। আমার নিজের অবস্থান থেকে যখন অনুভব করি দল আজ ক্ষমতায় আমার মত লোকের খবর কেউ রাখে না তাহলে ত্রিশালে আমার মত বহু ত্যাগী নেতারা রয়েছে, তাদের অবস্থা আমার চেয়ে ভালো থাকার কথা নয়।
ত্রিশাল আওয়ামীলীগের আগামীদিনের স্বপ্ন নিয়ে তিনি বলেন, আমি কারো গ্রুপ করি না, তাই বলছি দোষত্রুটি কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। দলের সর্বোচ্চ মহলে সবার রেকর্ডই রয়েছে। আমার দাবি, দলের প্রয়োজনে ত্যাগী নেতা ও তাদের পরিবার যেন কমিটিতে স্থান পায় এবং আওয়ামীলীগ করার সুযোগ পায়।
দল সু-সংগঠিত হলে মূলধারার নেতারা দলের দায়িত্ব পাবে। আমার মত অন্যান্য যারা রয়েছেন তাদের খোঁজ খবর রাখবেন তারা। সর্বশেষ ত্রিশাল আওয়ামীলীগ নিয়ে জননেত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।