বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধ রাজনৈতিক শক্তি সবসময় আতঙ্কে থাকে। এই কারণে জনগণের পদশব্দে তারা আতঙ্কিত হয়, জনগণের সোচ্চার কণ্ঠেও তারা আতঙ্কিত হয়। আর সেই আতঙ্কের কারণেই সরকার আজকে রাষ্ট্র শক্তি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজের চেতনায় সাজিয়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা সেখান থেকে রক্ত ঝড়াচ্ছে।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেও তাদের চেতনার রঙে রাঙ্গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে আইন-আদালত সব জায়গায় তারা নিজেদের লোক বসিয়ে সব কিছুকে করায়ত্ত করে গোটা জাতিকে তারা উপনিবেশ বানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন যারা গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এ দেশের গণতন্ত্রকামী ভিন্নমতের মানুষদেরকে নির্দয়ভাবে দমন করছে, আজকে বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচিতে ঠিক একই কায়দায় সরকার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী এবং তাদের চেতনায় লালিত পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত বিভিন্ন জেলা শহরে পুলিশী হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এগুলো তাদের অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। আজকে ঢাকা জেলা থেকে শুরু করে মাগুরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ-এখনো আমরা বিভিন্ন জেলায় পুলিশী তাণ্ডব, সরকারি বাহিনীর তাণ্ডব, তারা যে বিএনপির সমাবেশকে পণ্ড করতে বিভিন্ন ধরনের যে অপকৌশল নিয়েছে সেই বিভৎস নারকীয় সন্ত্রাসের কাহিনী আমরা শুনতে পাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। তন্মধ্যে খন্দকার শাহ মাইনুল ইসলাম বিল্টুকে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও আমরা শুনতে পাচ্ছি। এছাড়াও পটুয়াখালীতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম জেলা মৎস্যজীবী দলের শাহ আলম তালুকদার, সদর উপজেলার বাপ্পী ও মন্টু মিয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো: আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।