পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তে অত্যাচার চালাচ্ছে ইউক্রেনের পুলিশ। এমনকি পিপার স্প্রে ছিটিয়েও ইউক্রেনত্যাগী ভারতীয়দের ওপর পুলিশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেন-স্লোভাকিয়া সীমান্তের তল্লাশিচৌকির কাছে আটকা পড়েন মালবিকা নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী। প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে তাকে খাবার ও পানি ছাড়া থাকতে হয়েছে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তল্লাশিচৌকির পুলিশ তাদের ওপর তিনবার লঙ্কা ও গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। এর পর অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যান। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ সাহায্যের জন্য স্লোভাকিয়ান দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন।
এমনকি কিয়েভ দূতাবাসেও তারা ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হেল্পলাইনগুলোর কোনোটিই কাজ করছে না বলে তারা জানান। সামাজিকমাধ্যমেও এ ঘট্নার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা যায়, সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে লাঠিপেটা করছে ইউক্রেনের পুলিশ। এমনকি নারীদের ওপরও নির্বিচারে লাঠির আঘাত করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দুক চালানোর আওয়াজ এবং চিৎকারের আওয়াজও ভেসে উঠেছে ভিডিওতে। এমনকি নিজেদের সুটকেস ছেড়েও দৌড়ে পালাতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
তবে ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। তার মতে, সবাইকে একটি লাইনে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু লোকজন নিজেরাই লাইন ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন। এর ফলেই এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।