বসতঘরের সিঁধেল কেটে পরিবারের সদস্যদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধভাবে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এসময় ওই গৃহবধূর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ করেন ভিকটিম পরিবার।
রোববার ভোররাতে সদর লক্ষীপুরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সকালে ভিকটিম ওই নারীকে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় রোববার দুপুরে শহরের আদালত পাড়া থেকে সুমন মাঝি নামে একজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সুমন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন চরমটুয়া গ্রামের মন্তাজ মাঝির ছেলে ও জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের ভাই।
ভিকটিম ও তার পরিবার জানায়, রোববার ভোরে স্থানীয় চরমটুয়া গ্রামে কৃষক আব্দুর রহমানের ঘরে সিঁধেল কেটে প্রবেশ করে সুমন, নাজিম, হোসেন, ইউছুফ ও হারুন নামে পাঁচজন যুবক। এসময় ওই গৃহবধূ তার শাশুড়ি, ননদ ও ছেলেসহ সবাইকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে তারা। পরে ওই গৃহবধূকে চারজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই গৃহবধূর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মো: আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নির্যাতনের অভিযোগ শুনে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। নির্যাতিতা ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও চিকিৎসা চলছে।
জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে শ্লীলতাহানির খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জড়িত সবাইকে ধরতে মাঠে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানালেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।