জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাজ স্বর্ণপ্রভার ব্যক্তিগত দাপ্তরিক কক্ষ থেকে অফিসিয়াল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট,নাম্বার পত্র, উত্তর পত্র ও গোপনীয় নথি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বিভাগের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শেষে গত বুধবার(২৩ ফেব্রুয়ারী) শিক্ষক ফারজানা নাজ স্বর্ণপ্রভা রাত ১২ টার সময় কলা ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত ব্যক্তিগত অফিসের কক্ষটি তালাবদ্ধ করে বাসায় যান।পরদিন (২৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১০টার সময় তিনি তার অফিস কক্ষে এসে দেখতে পান তার রুমের জানালার কাচ ভাঙ্গা, অফিসিয়াল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও গোপনীয় নথি, একাধিক শিক্ষাবর্ষের গোপনীয় নাম্বারপত্র(৬০ ও ৪০),উত্তরপত্র,উপস্থিতি রেজিস্ট্রার খাতা,পেন ড্রাইভ চুরি হয়েছে। তবে এ সময় সেখানে স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস থাকলেও সেগুলো না নিয়ে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফারজানা নাজ স্বর্ণপ্রভা বলেন “অতীতের কিছু ঘটনার কারনে আমি আমার চাকরি জীবনের সাত বছরেও কখনো আমার অফিস কক্ষে গুরুত্বপূর্ণ নথি, কাগজপত্র, উত্তরপত্ত রাখতে সিকিউরড ফিল করিনি। সেদিন শিক্ষার্থীদের রিহার্সালের করাতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় পরদিন সকালেই অফিসে চলে আসব ভেবে আমি আমার গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো সেখানে রেখে যাই।উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আমার সাথে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান মোঃ আল জাবির বলেন” বিভাগের অফিস থেকে চুরি বা নথি হারানো কখনো কাম্য নয়। এই ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে করা হয়েছে।কেননা অফিস কক্ষে স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস থাকলেও সেগুলো চুরি হয়নি। চুরি হয়েছে শুধু পরীক্ষার খাতা,নাম্বারপত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি।ব্যক্তিগত শত্রুতা অথবা কর্মক্ষেত্রের শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেটি জানতে চাই।”
প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন ” এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রেজিস্ট্রার কৃষিবীদ ড.হুমায়ুন কবীর বলেন “প্রক্টরিয়াল বডি যেহেতু শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করে তাই আমরা প্রক্টরিয়াল বডিকে নথিগুলো খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিয়েছি। “