সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া রিট খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছে আপিল বিভাগ। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকায় এলে বিচারক ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড এটি রাষ্ট্রধর্মের বিষয়। এটি নিয়ে পাবলিক ইন্টারেস্ট আছে। বিষয়টি যদি আপনারা সবাই মিলে শুনতেন।’ তখন আদালত বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী। মামলায় পক্ষভুক্ত আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী।
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেয়।
এরপর ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রায় প্রকাশ হয়। পরে ১২ নভেম্বর হাইকোর্টের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সংসদ দেশের বাস্তবতার নিরিখে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। বাংলাদেশের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বৈধ বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, দেশের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিধি বাড়ানোর আইনত ও সাংবিধানিক এখতিয়ার সংসদের। সংসদ সেটাই করেছে।