ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিশুসহ তিনজন মারা গেছেন। পৃথক দুই ঘটনায় সেনা সদস্যসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধ নারী ও এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মরতুজা বেগম (৬০) ও তার নাতনী জান্নাত (৪)। নিহত মরতুজা বেগমের বাড়ি গফরগাঁওয়ের আটারদানা গ্রামে এবং নাতনী শিশু জান্নাত গফরগাঁওয়ের খারুয়া গ্রামের সবুজের সন্তান।
ভালুকা হাইওয়ে থানার ওসি আলী হোসনে ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ভালুকার মেহেরবাড়ী এলাকার হাজীর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মরতুজা বেগম তার নাতনী জান্নাতকে নিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে পারাপারের সময় একটি কভার ভ্যান চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে পেছনে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যকে বহন করা একটি ট্রাক ব্রেক কষলে ট্রাকটি উল্ঠে গিয়ে কমপক্ষে ৭ জন সেনা সদস্য আহত হন। আহত সেনা সদস্যদের প্রথমে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলেও পরে দ্রুত সিএমএইচে পাঠানো হয়।
অপরদিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দাঁড়িয়ে থাকা বালু বহনবারী ট্রাককে যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সাত মাস বয়সী শিশু সিন্নাতুর ময়মনসিংহ সদরের সুতিয়াখালী এলাকায়।
ত্রিশাল থানার এসআই শফিক ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ত্রিশালের কাজীরশীমলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় নিহত শিশুকে আমরা এখনও পায়নি। এঘটনায় আহত ১৪জনের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- গৌরীপুরের গোলাপপুরের ওয়াশিমের ছেলে শওকত (৯), সৌরভ (১২), আরফানের মেয়ে রাশিদা খাতুন (৩০), ঈশ্বরগঞ্জের বটতলার আবুল কালামের ছেলে অলিউল্লাহ (৩৫), রাজশাহী নাটোরের মো. হাসানের ছেলে সোহেল (২৫), নেত্রকোনা কেন্দুয়ার ভাঙ্গানিয়ার রতন মিয়ার মেয়ে স্বর্ণা বেগম, ময়মনসিংহ সদরের সুতিয়াখালীর নুরুল ইসলামের ছেলে অমি(১৮), সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের রামপুরের নয়ন মিয়ার ছেলে সাগর(৩৫)।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।