ময়মনসিংহ বোর্ডের এক কলেজে শতভাগ ফেল

ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় একটি কলেজের সকল শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।  জামালপুরের বকশীগঞ্জের এই  কলেজটির নাম চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম।

জানাযায়, করোনার কারণে ২০২০ সালে বিশেষ ব্যবস্থায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ফলে কোনো শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। আর শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬৩টি। সেই তুলনায় ২০২১ সালে শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ৭ হাজার ১২৯টি। উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডসহ সারা দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন।

এবারের শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সবগুলোই সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের। মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। শূন্যপাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বোর্ডে একটি,  চট্টগ্রাম বোর্ডে দু’টি ও দিনাজপুর বোর্ডে দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, ময়মনসিংহ বোর্ডের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সকল শিক্ষার্থী ফেল করেছে। তবে সে প্রতিষ্ঠানটিতে মাত্র ২জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নাম না প্রকাশ করাই ভাল।

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২৭৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৫:৭১ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৬৮৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এ মেয়েরা এগিয়ে রয়েছেন। এবার ৪,১২৩ জন মেয়ে ও ৩,৫৬৪ জন ছেলে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিলেন ৬৯২১৭ জন পরীক্ষার্থী। কৃতকার্য হয়েছেন ৬৬২৫০ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ৩৫৫৪৯ জন এবং ছেলে পরীক্ষার্থী ৩৩৬৬৮ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৬৮৭ জন। পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে নেত্রকোনা জেলা। নেত্রকোনা জেলায় পাশের হার ৯৬%৪৩।

Share this post

scroll to top