সরকার নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু করেছে : রিজভী

চট্টগ্রামে ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’-এর নাম পরিবর্তন ও ঢাকায় ‘জিয়ার সমাধি’ সরিয়ে ফেলতে সরকার ফের ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, হিংস্রাশ্রয়ী সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আবেগের উৎস স্বাধীনতার মহান ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে নিয়ে এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেরে বাংলা নগররে তার মাজার সরিয়ে ফেলার নীলনকসা বাস্তবায়ন শুরু করার পর এবার চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর দখল করতে মাছে নেমেছে তারা। গতকাল নামফলক কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। এটা শুধু নোংরামিই নয়, কাপুরুষতাও। শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অর্থই হলো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অপমান করা।

রিজভী বলেন, জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দিলেও হৃদয়ের ওপর কোনো হুকুম চলে না। জিয়াউর রহমান কেবল কোনো ব্যক্তি নন, তিনি জাতীয়তাবাদী দর্শন ও আর্দশের পিতা। জনগণের প্রেরণার উৎস। তার নাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। কোনো ষড়যন্ত্র তাকে দেশের মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, এই আঘাত দেবেন না। এটা নানাভাবে নানা কারণেই প্রত্যাখ্যাত হিসেবে আপনার কাছে ফিরে যাবে। রাষ্ট্রশক্তির হিংস্র আক্রমণকে প্রতিহত করে আপনাদের কালো হাত ভেঙে দেবে দেশের মানুষ। চলমান অধিকারের যুদ্ধে আপনাদের অনাচারের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেবে জনগণ। সময় ঘনিয়ে আসছে। আপনাদের উন্মক্ততার যবনিকাপাত ঘটতে সময় লাগবে না। গণতন্ত্র মানেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই, কথা বলার স্বাধীনতা মানেই জিয়াউর রহমান। তাকে কালি দিয়ে মুছবেন। কিন্তু মানুষের হৃদয়ে মনে লেখা নাম তো কালি দিয়ে মুছতে পারবেন না। আপনাদের রাষ্ট্রশক্তি আছে, আপনাদের পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব আছে কিন্তু ওই বন্দুক দিয়ে মানুষের হৃদয়ের সেই নাম কি করে মুছবেন আপনারা? মানুষের অন্তরের জিয়াউর রহমানের যে সুর বাজছে তা কখনোই কোনো দিন মুছে ফেলতে পারবেন না।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top