ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পরাজিত প্রার্থীর কর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনের পরদিন মঙ্গলবার মাধররের শিকার ওই কর্মী বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। এঘটনায় আরো ৪ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে পাভেল মিয়া (২২) সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে মতিউর রহমান বাচ্চুর পক্ষে কাজ করে। কিন্তু তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুস সালামসহ অন্যরা আরেক মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয় প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মোহাম্মদ আলীর কর্মী আব্দুস সালাম ও রমজান আলীসহ তাদের দলবল পরাজিত প্রার্থী বাচ্চুর পক্ষে কাজ করায় নিহত পাভেল ও তার বাবা নুরুল আমিনসহ অন্যদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসতে থাকে।
এ অবস্থায় নির্বাচনের পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে রমজান আলী তার দলবল নিয়ে বাড়ির সামনে নিহত পাভেলসহ সবাইকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর রমজান নিহত পাভেল কে বলতে শুরু করে, কই? তোর বাপ বাচ্চু তো জয়ী হতে পারলো না এখন তোদের খেয়ে ফেলবো” এই কথা বলে তারা প্রায় ২০/২৫ জন হাতে থাকা বাশের লাটি দিয়ে পাভেল ও তার বাবাসহ বেশ কয়েক জনকে পিটিয়ে আহত করে।
এসময় পাভেলের মাথায় প্রতিপক্ষ আল-আমিন হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে পাভেল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এঅবস্থায় স্থানীয়রা পাভেল সহ আহত সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় পাভেলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় আরো ৪জন আহত হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহতরা হলেন নিহত পাভেলের বাবা নুরুল আমিন,চাচাতো ভাই জুয়েল মিয়া, রইছ উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন, নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।