বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটি অভাব রয়েই গেছে। সেটি হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশে পঞ্চমবারের মতো খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু দুঃখের কথা এতকিছুর পরেও এখনো আমরা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারিনি।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’। এবারের প্রতিপাদ্যটি খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিতের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু দ্রুত এটি নিশ্চিত করায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। তবে শুধু নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে নয়, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখছি কেবলমাত্র আমরা সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে আশায় বসে থাকি। এটা একদমই আমাদের ঠিক হচ্ছে না কারণ সরকারের একার পক্ষে কাজটি করা সম্ভব নয়। এটি নিশ্চিতের জন্য আামাদের জনগণের এগিয়ে আসা অনেক বেশি জরুরী। আমি মনে করি, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার আন্দোলনে সবাইকে জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিত। জনসাধারণের সচেতন উপলব্ধি ও সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির জন্য উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন; তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের এই অধিকার পূরণকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা গবেষণার ওপর এখন গুরুত্ব দিয়েছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তাদের সাথে আমিও মনে করি ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব।