বাকৃবির ক্যান্টিন ও লেকভিউয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্র শিক্ষক-কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যান্টিন এবং লেক ভিউয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১ টায় টিএসসির ক্যান্টিনে ওই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্যান্টিন এবং লেক ভিউয়ের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

জানা যায়, প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাকৃবি টিএসসি দৃষ্টিনন্দন করে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে টিএসসির এই সংস্করণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে অধিকাংশ কাজ প্রায় শেষের দিকে।

নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে ক্যাফেটেরিয়াতেও। টিএসসি ক্যান্টিনে নতুন চেয়ার, টেবিল সংযোজন করা হয়েছে। পুরো ক্যান্টিনজুড়ে করা হয়েছে আকর্ষণীয় ডেকোরেশন।

পূর্বে টিএসসির পেছন দিকে ছিল অপরিষ্কার এবং আগাছায় ভরা। বর্তমান ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেনের একান্ত উদ্যোগে টিএসসির পেছন দিকে পরিষ্কার করে সেখানে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। পেছনের লেকটিও বর্তমানে পরিষ্কার করে সেখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে গড়ে তুলা, তাদের হৃদ বন্ধন মজবুত করা , নিজেদের বিকশিত করা এবং মানসিক বিকাশ সাধন করার লক্ষ্যে টিএসসিকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ।

এখন টিএসসি চত্বরে প্রথমেই চোখে পড়বে বড় একটি নামফলক, যা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। পাশেই করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। সেই ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে ম্যুরালটিতে। সামনে এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে ‘টিএসসি লেক ভিউ’ ফলক । শিক্ষার্থী, দর্শনার্থীদের এখন ছবি তোলার অন্যতম আকর্ষণ এটি।

সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং টিএসসি আধুনিকরণের পরিকল্পনাকারী এবং সম্পাদনকারী অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলা টিএসসিটির আধুনিকায়ন করা জরুরি ছিল। শুধু শিক্ষা এবং গবেষণা নয়, শিক্ষার্থীরা যেন সকল প্রকার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে পারে সেজন্য এটি করা। তারা যেন স্বচ্ছ পরিবেশে সত্যিকার অর্থে জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।

অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, টিএসসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মিলনমেলা। তাই এই স্থানটিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছি। এখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি মুক্তচিন্তা চর্চা এবং সাংস্কৃতিক দক্ষতা বৃদ্ধিও সুযোগ পাবে। টিএসসি অধিভুক্ত সংগঠনগুলোও তাদের কার্যক্রমকে আরো সুন্দরভাবে এখানে তুলে ধরতে পারবে এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে না থেকে সবাই একত্র হতে পারবে এইখানে।

Share this post

scroll to top