ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান কঙ্গোর সামরিক আদালত জাতিসংঘের দুই বিশেষজ্ঞ হত্যার দায়ে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
২০১৭ সালে দেশটির বিরোধপূর্ণ কাসাই অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ জাইদা কাতালান ও মাইকেল শার্প হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এদের মধ্যে জাইদা হলেন সুইডিশ এবং মাইকেল একজন আমেরিকান। খবর আলজাজিরার।
কঙ্গোতে প্রায়ই হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে দেশটি।
জাতিসংঘের দুই কূটনীতিককে হত্যার ঘটনা ব্যাপকভাবে নাড়া দেয় বিশ্বকে। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারকাজ চলছে দেশটির সামরিক আদালতে।
সরকারি বাহিনী ও একটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে সুইডেনের নাগরিক জাইদা কাতালান ও আমেরিকান মাইকেল শার্প ২০১৭ সালের মার্চে কাসাই অঞ্চলে যান।
এ সময় রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পর একটি গ্রামে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
দেশটির কর্তৃপক্ষ দাবি করে সশস্ত্রগোষ্ঠীর লোকেরা তাদের হত্যা করেছে। কাসাই অঞ্চলে নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর প্রধানকে হত্যার পর ২০১৬ সাল থেকে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে সংঘাতের কারণে সাড়ে তিন হাজার মানুষ নিহত হন। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন বহু মানুষ।