লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হুমায়ুন হাসান রাকিবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি উপজেলার শায়েস্তাগর গ্রামের খাজা মোল্লা (কাঁচারী) বাড়ির আবুল কালাম সুলতানের ছেলে। ফেনীর ফুলগাজী থানায় ২০১০ সনের একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলায় তিনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে লক্ষীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, ওই যুবকের বিরুদ্ধে ফেনীর ফুলগাজী থানায় মামলা নং-০৩, তাং-১৯/১১/২০১০ (জিআর-১১৯/১০, দায়রা নং-২০২/১২) রয়েছে। তিনি মৃত্যুদন্ডের পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই পলাতক ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে বোয়াডার বাজার থেকে সহকারী পরিদর্শক (এসআই) ইমদাদুল হক, উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। শনিবার দুপুরে তাঁকে লক্ষীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া হুমায়ুন কবির থানায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি এ মামলায় সাড়ে ৮ বছর কারাভোগ করেছি। জজ আদালত থেকে জামিনে ছিলাম। কবে রায় হয়েছে তা আমি জানি না। আমাকে অন্যায়ভাবে এ ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি নিরপরাধ। আমার স্ত্রী ও দেড় মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে।
ফুলগাজী থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সনের ১৯ নভেম্বর ওই উপজেলার ধলিয়া সড়কে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এক সিএনজি চালককে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজন পরশুরাম উপজেলার পূর্ব সাহেবনগর গ্রামের ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে গ্রেপ্তার হওয়া হুমায়ুন হাসান রাকিবকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
ওই মামলায় প্রায় সাড়ে ৮ বছর জেল খাটেন রাকিব। জামিনে এসে তিনি পলাতক থাকেন। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাঁকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন। তিনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।