সব জেলা পরিষদে সমান সদস্য থাকছে না

দেশের সব জেলা পরিষদে সমসংখ্যক সদস্য থাকছে না। এ ছাড়া বসানো যাবে প্রশাসক। এ প্রস্তাব রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম রোববার জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০২২ সংসদে উপস্থাপন করেন। বিলটি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিদ্যমান আইনে প্রতি জেলায় ১৫ সাধারণ সদস্য এবং পাঁচজন সংরক্ষিত নারী সদস্য থাকার বিধান রয়েছে। তা সংশোধন করে প্রত্যেক উপজেলায় (জেলার মোট উপজেলার সমসংখ্যক) একজন করে সদস্য এবং চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণসংখ্যা) নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।
এদিকে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনকে ভোটার তালিকা তৈরির কথা বলা হলেও প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচন কমিশনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের মধ্যে দেশের প্রায় সব জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হতে চলছে। তার আগে চলতি সংসদেই এ বিলটি পাস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান জেলা পরিষদগুলোতে প্রশাসক বসানো হবে।

বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সংসদে বলেন, বিদ্যমান আইনে জেলার আয়তন, জনসংখ্যা ও উপজেলার সংখ্যা ইত্যাদি নির্বিশেষে সব জেলা পরিষদে সমসংখ্যক মোট ২১ জন সদস্য রয়েছে। কিন্তু বৃহৎ আয়তনের তুলনায় ক্ষুদ্র আয়তনের জেলা পরিষদগুলোর রাজস্ব আয়ের সংস্থান খুবই কম। ফলে ক্ষুদ্র জেলার পরিষদের পক্ষে সদস্যদের সম্মানী পরিশোধ ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহের পর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ সম্ভব হয় না। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রত্যেক জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

Share this post

scroll to top