লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ

ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের অভাবে লাফিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক-মহাসড়কে ২৪ লাখ অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকের দাপটে দুর্ঘটনায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই সড়কে ঝরছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৭১টি। এতে নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন এবং আহত ৭ হাজার ৪৬৮ জন। যা বিগত দুই বছরের তুলনায় অনেক বেশি। শেষ বছরের দুর্ঘটনায় মানবসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। যা জিডিপির দশমিক ৩ শতাংশ।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে মোটরসাইকেল। ২ হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২১৪ জন। যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থী। মোট নিহতের মধ্যে ৮০৩ জনই শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সময় সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু নিয়ে বড় পরিসরে প্রতিবাদও হয়েছে।

এরপর কর্তৃপক্ষ শুধু পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা পদক্ষেপের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন কখনোই হচ্ছে না। এমনকি সড়ক পরিবহণ আইন শিরোনামের একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হলেও সেটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা শিথিল করা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুজনিত বিষয়, চালকদের লাইসেন্সসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দক্ষ চালক তৈরি, ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরিসহ বেশকিছু সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, বাংলাদেশের সড়কের এখনকার যে অবস্থা পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে সেটা জাপান ও কোরিয়াতেও একটা সময় ছিল। কিন্তু তারা এখন ১০ হাজার পরিবহণে মাত্র দুইটা দুর্ঘটনায় নামিয়ে এনেছে। তার মানে এটা অর্জন করা সম্ভব। পরিসংখ্যানকে গুরত্ব দিত বলেই এটি তারা পেরেছে। সমস্যাগুলোকে শনাক্ত করে সক্ষমতা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করার ফল তারা পেয়েছে। আমরা সেটা পারিনি। এত এত সমস্যা-অথচ সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেই।

একদিকে যেমন ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেই, অন্যদিকে ভবিষ্যতের জন্যও কোনো সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেই। যাদের এটা নিয়ে কাজ করার কথা তাদের ফোকাস দেখি না। ন্যাশনাল রোড সেফটি কাউন্সিল একটি এপেক্স বডি, যাদের কাজ দুর্ঘটনা রোধে একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এপেক্স পর্যায়ের বৈঠকেও পরিবহণ লিডারের কথা বলার জায়গা হয়ে যায়। ফলে অর্জন ও ঘাটতি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয় না। এতে পরিবহণ সেক্টর অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিশৃঙ্খল হচ্ছে। এ অবস্থা মোকাবিলায় পেশিবহুল পরিবহণ সিন্ডিকেটকে একটি সিস্টেমের মধ্যে আনা অত্যন্ত জরুরি।

পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯০ দশমিক ৬৯ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী অদক্ষ চালক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও ট্রাফিক আইন না মানাই দুর্ঘটনার মূল কারণ। সারা দেশে ২৪ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

গত তিন বছরের সড়ক দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অদক্ষতার পাশাপাশি চালকের গোঁয়ার্তুমি অন্যতম বড় কারণ। তাদের হতাহতের সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দুর্ঘটনায় যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৯৮ জন (১২.৬৯ শতাংশ)। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ২৬৬ জন চালক নিহত হয়েছে। যা তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট নিহতের ২৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে এক হাজার ১৯০ জন চালক নিহত হয়। যা মোট নিহতের ২২ শতাংশ।

নিসচার মহাসচিব সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল বলেন, ‘দেশে লাইসেন্সবিহীন ২৪ লাখ চালক গাড়ি চালাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় এক লাখ অদক্ষ চালক বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ ভারী যানবাহন চালাচ্ছে। হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে অনেকে ভারী গাড়ি চালাচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো হচ্ছে। অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালকের লাইসেন্স নেই। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। অসংখ্য চালকও নিহত হচ্ছে।’

অবশ্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি কেবল লাইসেন্স করাতেই এই সমস্যার সমাধান দেখছে না। সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েও মানসম্মত চালক তৈরি হচ্ছে না। কারণ নানা অসদুপায়ে লাইসেন্স সংগ্রহ করে অনেকে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে। যারা প্রকৃতপক্ষে দক্ষ নয়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক হিসাব অনুযায়ী দেশে মোট নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৪৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৮টি। বেসরকারি হিসাবে-সড়ক-মহাসড়কে নিবন্ধিত গাড়ির বাইরে ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ আরও কয়েক লাখ গাড়ি চলাচল করে।

এর সঠিক হিসাব কোনো সংস্থার কাছে নেই। নিসচার হিসাব অনুযায়ী, ২৪ লাখ লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক গাড়ি চালাচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা ৩০ লাখের মতো। বেশির ভাগ চালক ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে রাস্তায় নেমেছে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যান বলছে- সারা দেশে ৮৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের বেপরোয়া গতি। ভুল ওভারটেকিংয়ের কারণে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ১০টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সেগুলো হলো-ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা ও মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল। প্রতিষ্ঠানটির চোখে দুর্ঘটনার জন্য আরও দায়ী-তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।

সংস্থাটি বলছে, গত বছরের সড়ক দুর্ঘটনায় মানবসম্পদের ক্ষতির আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের হিসাবে। কিন্তু প্রকৃত ক্ষতি এর চেয়েও ৪-৫ গুণ বেশি। কারণ দুর্ঘটনার অনেক খবরই রিপোর্টেড হয় না। এই হিসেবে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আমাদের জিডিপির প্রায় ১.৫ শতাংশ হতে পারে। এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৯২ জন (৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ)।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা ১০টি সুপারিশ করেছি। আমরা দেখেছি ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনে বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা দুর্ঘটনার কারণ। পাশাপাশি চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা ও তরুণ-যুবক চালকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোয় দুর্ঘটনা ঘটছে।

টেকসই পরিবহণ কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এসবের পাশাপাশি আমাদের সুপারিশে রয়েছে বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি। তাছাড়া পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। গণপরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে।

ঝুঁকিতে ঢাকা : সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রাজধানী ঢাকা। সর্বশেষ গত দুই দিনে ঢাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর রাজধানীতে ১৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে পথচারী ৫২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং বাস-রেকার-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-অটোভ্যান, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদির যাত্রী ও আরোহী ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। রাজধানীতে যানবাহনের চাপায়-ধাক্কায় পথচারী বেশি হতাহত হয়েছে।

এসব দুর্ঘটনা রাতে এবং ভোরে বেশি ঘটেছে। বাইপাস রোড না থাকার কারণে রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানীতে মালবাহী ভারী যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। ফলে রাস্তা পারাপারে পথচারীরা নিহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে যানবাহনের তুলনায় অপ্রতুল সড়ক, একই সড়কে যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক, স্বল্প ও দ্রুতগতির যানবাহনের চলাচল, ফুটপাত হকারের দখলে থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া ফুটওভার ব্রিজ যথাস্থানে নির্মাণ না হওয়া ও ব্যবহার উপযোগী না থাকা, যানজটে চালকদের ধৈর্যহানি ও সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসচেতনতার কারণে অতিমাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটছে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি : সংশ্লিষ্টরা জানান, মোটরসাইকেল ৪ চাকার যানবাহনের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু দেশে গণপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত ও সহজলভ্য না হওয়া এবং যানজটের কারণে মানুষ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে এবং দুর্ঘটনা বাড়ছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ৫ হাজার ৩৭১টি দুর্ঘটনার মধ্যে ২ হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২১৪ জন। যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, মোটরসাইকেলে ভারী যানবাহনের চাপা ও ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। ৪০ দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেল চালক এককভাবে দায়ী ছিল।

দুর্ঘটনার জন্য বাসের চালক দায়ী ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, ট্রাকচালক দায়ী ২৮ দশমিক ০৫ শতাংশ, কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ট্যাংকার চালক দায়ী ৯ শতাংশ, প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালক ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, থ্রি-হুইলার ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, রিকশাভ্যান চালক দায়ী শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং পথচারী দায়ী ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে এবং ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে শহরের সড়কে। সূত্রঃ যুগান্তর

Share this post

scroll to top