গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সরকার ইয়ার্কিমূলক কথাবার্তা বলেছে। লবিস্ট নিয়োগ করে এসব করা হয়েছে বলে প্রচার করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগই ২০০৪ সালে বাংলাদেশের পক্ষে লবিস্ট নিয়োগ করে। কিন্তু তারা দায় দিচ্ছে বিএনপির ওপর।
‘বিএনপি দলের টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের করের টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করছে। তিনি আরও বলেন, নিজেদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে তাদের মিথ্যার বিরুদ্ধে আমাদের সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারছি না।’
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।
নুরুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণকে দেয়নি, সরকারকে দিয়েছে সঠিক পথে আসার জন্য। তারা তাদের কাজ করেছে। কিন্তু জনগণ বা রাজনৈতিক দল রাস্তায় দাঁড়িয়েছে? তা কিন্তু হচ্ছে না।
সভায় র্যাব বিলুপ্ত করা বা নাম পরিবর্তন করার আহ্বান জানান ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বাংলাদেশের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রপ্তানি, শুল্ক সুবিধার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে। এসব ঘটলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- রাষ্ট্রচিন্তার সমন্বয়ক দিদারুল ইসলাম ভুঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ উর রহমান, গুম হওয়া কাঠ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী নাসরিন জাহান প্রমুখ।