ভোরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছেন। ফিরে এসে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী। পরে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গ্রামের মুকুল সরদারের ছেলে রুবেল সরদার (৩২) তাঁর স্ত্রী লিপি খাতুনকে (২৭) গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী। লিপি খাতুন কলিমহর ইউনিয়নের সাজুরিয়া গ্রামের এলেম শেখের মেয়ে। ১৫ বছর আগে তাঁদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। নিহত লিপি খাতুনের তিনটি সন্তান রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মো. রিপন বলেন, ‘সকালে রুবেলের বাড়িতে চিৎকার শুনে এসে দেখি ঘরের দরজা আটকে বউকে মারধর করছে। এ সময় আমরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেছি। একপর্যায়ে দরজার একপাশ ভেঙে গেলে ভাঙা দরজার মধ্য দিয়ে রুবেল একটি রক্তমাখা দা বের করে। তখন আমরা ভয় পেয়ে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে ৯৯৯ কল করে পুলিশকে খবর দেই।’
অভিযুক্ত রুবেলের ভাবি শিউলি খাতুন বলেন, ‘ওদের সংসারে আগে থেকেই ঝগড়াঝাঁটি হতো। রুবেল নেশা করত এবং প্রায়ই বউকে মারপিট করত। এ জন্য রুবেলের বউ বাবার বাড়িতে চলে যায়। তিন দিন আগে রুবেল বউকে বাড়ি নিয়ে আসে। আজ সকালে এ ঘটনা ঘটায়।’
ইউপি সদস্য মোন্তাজ আলী বলেন, ‘আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি রুবেল সকালে বউকে নতুন কাপড় পরিয়ে গ্রাম ঘুরিয়ে নিয়ে বাড়ি এসে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।’
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে ঘটনাস্থলে এসে রুবেলকে আটক করি এবং লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’