প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার সকালে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন।
করোনার সংক্রমণের কারণে এবার এ সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাসস এসব তথ্য জানায়।
রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ভার্চ্যুয়ালি ডিসি সম্মেলনে যুক্ত হবেন। আর ডিসিরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে।
আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ডিসিদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। আগামীকাল বুধবার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এবার তিন দিনের ডিসি সম্মেলনে মোট ২৫টি অধিবেশন হবে। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে করোনা ব্যবস্থাপনার বিষয়টি।
সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও কার্যালয় সম্পর্কে আলোচনার জন্য ডিসিদের পক্ষ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব (১৮টি) ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমে করোনা ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আলোচনায় আসবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদার করা, ত্রাণ, পুনর্বাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবারকল্যাণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনা হবে।
এবারের ডিসি সম্মেলন শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
ডিসি সম্মেলনে মন্ত্রী-সচিবদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে ডিসিদের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়। ডিসিরা মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এ জন্য এই সম্মেলন ও তাঁদের প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিবছর এই সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর হয়নি। এবারও যখন এই সম্মেলন হচ্ছে, তখন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য করোনার পরীক্ষা করাতে গিয়ে জানা গেছে, দুই বিভাগীয় কমিশনার ও পাঁচ ডিসি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।