টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএমএ) ভোটগ্রহণ চলছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম কামরুল হাসান জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করেছেন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে। পৌরসভার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভোটারের উপস্থিতি অনেকটাই কম।
রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. গোলাম নওজব পাওয়ার ছৌধরী (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু (মোটর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী শ্রী মতি রুপা রায় চৌধুরী (ডাব)। একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে মোট ভোটার তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৭৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ৫০১ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৭ জন।
এ বছরই প্রথম ১২১ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৫৬ কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। ৬৪ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রথম বারের মত ইভিএম নতুন পদ্ধতিতে ভোট হওয়ায় নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে চার প্লাটুন বিজিবি, আট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও স্টাইকিং ফোর্স নিয়মিত কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুনবী চৌধুরী বলেন, প্রথম বারের মত টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হলেও সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিজিবি, র্যাব, আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ রয়েছে।
মির্জাপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।