ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চেম্বারে ঢুকে উপজেলা বিএনপির এক নেতাকে বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা। তবে ওই বিএনপি নেতার দাবি, আওয়ামী লীগের বাধা উপেক্ষা করে ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করায় ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তারের শ্যালক মাহবুব গ্রুপের যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহত বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী টিপুকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। স্থানীয় যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত জুলফিকার আলী টিপু উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যদর্শীরা জানান, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী টিপুকে সন্ধার পর শুক্কুর আলী তাঁর সহযোগীরা দেশিয় অস্ত্রসহ বাসায় ঢুকে টিপুকে মারপিট ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তাঁরা টিপুর বাসা ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালান তাঁরা।
আহত জুলফিকার আলী টিপু বলেন, আওয়ামী লীগের বাধা উপেক্ষা করে ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করায় ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তারের শ্যালক মাহবুব গ্রুপের যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন।
শুক্কুর আলীর চাচাতো ভাই আবদুর রহিম বলেন, টিপু প্রায়ই আমার ভাই শুক্কুর আলীকে মারধর করেন। ঘটনার আগেও মারধর করেছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ঘটনা শুনে টিপুকে দেখতে হাসপাতালে ও তার বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন জুলফিকার আলী টিপু। অপরদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন মাহবুবের ভাই হাবিবুর রহমান হাবীব।