কাজাখস্তানে গণবিক্ষোভ সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ কোনো সতর্কীকরণ ছাড়াই সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
টেলিভিশনে এক ভাষণে তিনি বলছেন, কাজাখস্তানের পরিস্থিতি মূলত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সন্ত্রাসীদের (বিক্ষোভকারী) দেখামাত্রই গুলি করা হবে। খবর বিবিসির।
কাজাখস্তানে গত কয়েকদিন ধরে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ চলছে।
প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ বলেন, কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাটির ওপর ২০ হাজার ‘গুণ্ডা’ হামলা চালিয়েছে। যারা আত্মসমর্পণ করবে না, তাদের সবাইকে নির্মূল করার নির্দেশ দেন তিনি।
তবে দেশটিতে সন্ত্রাস হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ যে দাবি করছেন, বিরোধীদলগুলো তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
কাজাখস্তানের পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাশিয়ার সৈন্য পাঠানোর জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানান।
একটি আঞ্চলিক চুক্তি অনুযায়ী কাজাখস্তানে রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিক্ষোভে এপর্যন্ত ২৬ জন ‘সশস্ত্র অপরাধী’ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
টেলিভিশনের ওই ভাষণে সঙ্কট সমাধানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা দাবিকে প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ ‘হাস্যকর’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, খুনি ও অপরাধীদের সঙ্গে কিসের আলোচনার?
উল্লেখ্য, হঠাৎ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সপ্তাহ আগে এই বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন কাজাখস্তানের কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তা এক গণবিক্ষোভের রূপ নিয়েছে।