৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও নিয়োগবঞ্চিত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে প্রার্থীর ব্যক্তিগত রিপোর্ট নেতিবাচক হলে সে ক্ষেত্রে নিয়োগ পাবেন না বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বুধবার পৃথক চারটি রিটের বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, ব্যক্তিগত রিপোর্ট বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। কেননা কারও বিরুদ্ধে মামলা বা অন্য কোনো অভিযোগ থাকতে পারে।
রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, তিনটি বিসিএসে লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৪ জনকে চিকিৎসক, প্রশাসন, শিক্ষা, পুলিশসহ বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তবে কোনো কারণ ছাড়াই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নিয়োগের গেজেটে তাদের নাম বাদ পড়ে। আজ এ রায়ের ফলে রিটকারীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এতে তাদের নিয়োগের পথ সুগম হলো।
রুল শুনানি শেষে বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৬তম থেকে ১০, ৩৭তম থেকে ৩৮ ও ৩৯তম থেকে ৩৬ জনসহ সর্বমোট ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।