১৯৯১ সালের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ানো ভুল ছিল, ৩০ বছর পর এমন বোধোদয় হয়েছে ওই সংসদের সদস্য লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের।
বুধবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নিজের আত্মসমালোচনা করে কর্নেল অলি বলেন, আজকে এই সংকটের পেছনে আমিও দায়ী। এ জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রক্রিয়া হয়েছে, তাতে আমারও অনেক ভূমিকা ছিল। তখন যদি আমি বুঝতাম তা হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতাম।
অলি আহমদ বলেন, সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেকে বলেন— কেয়ারটেকার সরকার চাচ্ছেন। ক্ষমতায় যেতে এত তাড়াহুড়ো কেন? সব প্রতিষ্ঠানে ভারসাম্য আনতে কাজ করতে হবে।
এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, ড. নিয়ামুল বশির, অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ, সহসভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, বিলাল হোসেন মিয়াজি, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।