বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনন্য ঈদ-ই-আমিনের উপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ নেতারা। সোমবার (৩ জানুয়ারি ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় আবাসিক ঈশা খাঁ হলে এ ঘটনা ঘটে। শাখা ছাত্র ইউনিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলে শীতবস্ত্র বিতরণকে কেন্দ্র বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অনন্য ঈদ-ই-আমিনের উপর হামলা করে হলের ছাত্রলীগের নেতারা। হামলায় অংশগ্রহণকারীরা হলেন সদ্য বিলুপ্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের হিমেল ও মাহামুদুল হাসান মুরাদ, এবং দপ্তর সম্পাদক নাঈম আহমেদ সরকার। হামলায় আহত হয়ে অনন্য ঈদ-ই-আমিন ময়মনসিংহের পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঈশা খাঁ হল প্রভোস্টের প্রত্যক্ষ মদদে হলের ছাত্রলীগের নেতারা এই হামলা করে। বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার এবং হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঈশা খাঁ হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের হিমেল বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা হলে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচীর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য হলের কর্মচারীদের চাপ প্রয়োগ করে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আমাদের হাতাহাতি হয়। তবে পরে হলের প্রভোস্ট এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
ঈশা খাঁ হল ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম সম্পাদক মাহামুদুল হাসান মুরাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। অন্যদিকে নাঈম আহমেদ সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন ও বাকৃবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট্রের সদস্যরা।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক বলেন, অসুস্থ থাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকতে পারি নি। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি জানতে পারলে আমি ওই অবস্থাতেই দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেই। আমি হলের গার্জিয়ান হিসেবেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আমি কখনই চাই না আমার হলে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটুক। তবে হামলায় আমার মদদ আছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, এমন ঘটনা কখনই কাম্য নয়। শিক্ষক হিসেবে কেউই চায় না ক্যাম্পাসে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক। বিষয়টা দুই পক্ষের মধ্যে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। আহতের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।