পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট আওয়ামী লীগের একাংশকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন স্বীকার করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) দেওয়া এ অনুষ্ঠান যারা বর্জন করেছেন, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।
গণমাধ্যমে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে দেওয়া এক সংবর্ধনা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেট নগরের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট সিটি কর্পোরেশন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সংবর্ধনা দেয়। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একদিন আগে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈঠক করে এ অনুষ্ঠান বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন। বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়। কিন্তু বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত ৩৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জন আওয়ামীপন্থী হওয়ায় এবং এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে সিসিকের সভায় গৃহীত হওয়ায়, অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিএনপিপন্থী মেয়র হওয়া সত্ত্বেও তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরে সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরার যে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন, সেটি বর্জন করাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা। নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির বিভিন্ন পদে অনেক কাউন্সিলরও রয়েছেন। তাদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয়নি। এছাড়া এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো জরুরি সভাও ডাকা হয়নি। তাদের মতে কার্যকরি কমিটির ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মতামত না নিয়ে নেওয়া এ সিদ্ধান্তে তৃণমূলের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। যার প্রমাণ মিলেছে এ অনুষ্ঠানে আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা ছাড়াও নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের নেতৃবৃন্দ ও ভ্রাতৃপ্রতীম, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে মেয়রের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। অথচ তারাই সিটি কর্পোরেশনের অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্কের জন্ম দিয়েছেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, আমরা প্রায়ই যোগ্য ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করি, সিটি কর্পোরেশন এ ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখিয়েছে।