লাশের আশায় এখনো বিষখালী নদীতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা

ঢাকা-বরগুনা নৌরুটের এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার পর বরগুনার বেতাগী এখন শোকপুরি। বেতাগী উপজেলার একজন নিহত, নিখোঁজ আটজনের এখনো সন্ধান মেলেনি। তবে নিখোঁজ যাত্রীরা জীবিত আছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে নিখোঁজের স্বজনদের আহাজারিতে শোকপুরিতে পরিণত হয়েছে এলাকা।

নিহত একজন হলেন উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন (২৮)। নিখোঁজরা হলেন কাউনিয়া এলাকার সিকদার বাড়ির রিনা বেগম (৩৮), লিমা (১৪), মোকামিয়া এলাকার আব্দুল হাকিম (৫৮), তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৩), আরিফুর রহমান (৩৫), কুলসুম (৪), সেলিম (৪৮) ও সোবাহান খলিফা (৪০)।

এছাড়ও আহত যাত্রীরা হলেন মাওলানা আবদুল হাই নেছারী, হালিমা বেগম, সফিউল্লাহ, কুশল কর্মকার, জাহানারা বেগম, ফরহাদ খলিফা, মুকুল খলিফা, রুবেল, শাহিন মতিয়ার রহমান, শাবনূর, শাহেবআলী, সালাম, ফেরদৌস ও বুলবুল।

মোকামিয়া ইউনিয়নের নিখোঁজ আরিফ ও তার মেয়ে কুলসুমের সন্ধান মেলেনি আজও। আরিফের মা আলেয়া বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ব্যাবাক্কে তো লাশও পায়, মুই তো লাশ পাই নাই। লাশ দুইডা পাইলে একটু বাজান ও নাতনির কবর দুইডা দ্যাখলে পরানডা ঠান্ডা অইতো।’

নিখোঁজের স্বজনরা এখনো লাশের আশায় বিষখালী নদীতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

Share this post

scroll to top