লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জন নিহতের ঘটনায় মামলা

ঝালকাঠিতে গভীর রাতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

শনিবার সকালে গ্রাম পুলিশ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থাকায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।

ঝালকাঠি থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে গ্রাম পুলিশ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থাকায় ওই অপমৃত্যুর মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

এর আগে সকালে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শনে গেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তিন তলা লঞ্চটি এখন ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে ভেড়ানো রয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো, নাজমুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরা পরিদর্শনে এসেছি। এখন পর্যন্ত পরিদর্শনে আছি। ইঞ্জিনরুমসহ পুরো লঞ্চটি দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি।

প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এমভি অভিযান -১০ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়।

স্মরণকালের ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।

ইঞ্জিন রুম থেকে লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে শুক্রবার তদন্ত কমিটি করে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বন্দর) মো. তোফায়েল ইসলামকে।

নাজমুল আলম ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্য বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) মো. কফিল উদ্দিন, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর আহম্মেদ ভূইয়া, ফয়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশিদ ও বিআইডব্লিউটিয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।

এ কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

Share this post

scroll to top