ইরানে ইসলামী বিপ্লবের ৪০তম বার্ষিকী পালিত

ইরানে ইসলামী বিপ্লবের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দেশজুড়ে বিশাল মিছিল ও শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ। মিছিল ও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

রোববার রাত ৯টায় ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে সারা দেশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। ইরানিরা নিজ নিজ বাড়ির ছাদে উঠে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি তুলে মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটি পাশ্চাত্যপন্থী দেশ থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ইসলামী বিপ্লব ইরানের মানুষকে কথা বলার অধিকার দিয়েছে; এটা হচ্ছে বিপ্লবের সবচেয়ে বড় সফলতা। আমেরিকার নিউ ইয়র্কার পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাওয়াদ জারিফ এ মন্তব্য করেন। গতকাল সোমবার তার ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, ইরানের জনগণ এখন দেশের ভেতরের ও বাইরের বিষয় নিয়ে কথা বলার অধিকার পেয়েছে।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশন বিপ্লববার্ষিকীর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের সড়কগুলোতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লার ‘ক্বদর’, সাত শ’ কিলোমিটার পাল্লার ‘কিয়াম’ ও আট শ’ কিলোমিটার পাল্লার ‘জুলফিকার’। এ ছাড়া ভূমি থেকে ভূমিতে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, নানা প্রকার সাঁজোয়া যানসহ ইরানের অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তিতে নির্মিত বিভিন্ন সমরাস্ত্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

‘শত্রুরা ভীতি ছড়াচ্ছে’
ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফের প্রধান মেজর জেনারেল মুহাম্মাদ বাকেরি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার জন্য ইসলামী বিপ্লবের ব্যাপারে শত্রুরা ইরান-ভীতি ছড়াচ্ছে। শত্রুরা এখন তাদের তৎপরতা আরো জোরদার করেছে।

রোববার সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় জেনারেল বাকেরি বলেন, গত চার দশকে ইরান কখনো আঞ্চলিক কোনো দেশের প্রতি লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায়নি; কিন্তু আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের অনুরোধে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এসব দেশে উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিতি বজায় রেখেছে। সেনাপ্রধান বলেন, আইএস সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছে এবং এসব দেশ যত দিন চাইবে তত দিন ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা সেখানে থাকবেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top