মোবাইল ফোনের কলড্রপ, নেওটওয়ার্ক না থাকা, কথা বলতে বলতে কল আটকে যাওয়া, শব্দ শোনা না গেলেও ব্যালেন্স শূন্য হতে থাকা; এসব এখন একটু বেশিই হচ্ছে। কিন্তু গ্রাহক কোনও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সক্ষমতা অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটরের থাকলেও তা নেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ২৫৫তম কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিন মাসের মধ্যে টেলিটককে কলড্রপকৃত মিনিটের তথ্য সংগ্রহ করার কারিগরি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং কলড্রপের বিপরীতে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সঙ্গে কলড্রপের কারণে ফেরতব্য কল মিনিট প্রদানের সক্ষমতা টেলিটক কেন অর্জন করেনি তা জানতে চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অপরদিকে, অফনেট কলড্রপের ক্ষেত্রে কলড্রপ, অরিজিনেটিং অপারেটর, আইসিএক্স ও টার্মিনেটিং অপারেটর—এই তিন অপারেটরের মধ্যে কোন অপারেটরের জন্য সৃষ্ট হয়েছে তা নিরূপণের ক্ষেত্রে কারিগরি জটিলতা বিদ্যমান রয়েছে বলে কমিশন বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়। ফলে বিষয়টি সমাধানের জন্য অফনেট কলড্রপের ক্ষতিপূরণের দায়ভার কোন অপারেটরের ওপর বর্তাবে এবং ভুক্তভোগী মোবাইল গ্রাহক কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে তা আরও পরীক্ষার জন্য কমিটি গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়।
এতে আরও বলা হয়, অফনেট কলড্রপের ক্ষেত্রে কারিগরি প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণের পরে নতুন করে নির্দশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় এবং ওই নির্দেশনা জারির সময় থেকে অফনেট কলড্রপের জন্য কল মিনিট ফেরতের বিষয়টি কার্যকরের কথা উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে কলড্রপের বিষয়টিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, অপারেটররা যা বলে, কলড্রপের হার তারচেয়ে বেশি। একটি কলে কথা শেষ করা যায় না। কয়েকবারে কথা শেষ করতে হয়। এর বিহিত অপারেটরগুলোকেই করতে হবে। গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার কলড্রপ নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, কেন এটা এত বেশি হচ্ছে, তা অনুসন্ধান করা হবে।