ভারতে এ পর্যন্ত ২০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭ জন।
সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। দুই রাজ্যেই ৫৪ জনের করে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তেলেঙ্গানায় ২০, কর্ণাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮, কেরালায় ১৫ এবং গুজরাটে ১৪ জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।
আল জাজিরা-র খবরে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তবে দেশটিতে এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের জাতীয় কোভিড-১৯ সুপার মডেল কমিটি জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। তবে এটি দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় মৃদু হতে পারে। প্যানেলের প্রধান এম বিদ্যাসাগর বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে সরিয়ে ওমিক্রন দাপুটে হয়ে উঠতে শুরু করলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে।
এম বিদ্যাসাগর বলেন, ‘আগামী বছরের শুরুর দিকেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ আসতে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে বেশি মানুষের ইমিউনিটি থাকায় এটা দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেয়ে মৃদু হতে যাচ্ছে। তবে অবশ্যই তৃতীয় ঢেউ আসবে। বর্তমানে আমরা প্রতিদিন সাড়ে সাত হাজার আক্রান্ত দেখছি, ডেল্টাকে সরিয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দাপুটে হয়ে উঠতে শুরু করলে এই সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বাড়বে।’