চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ, মাদ্রাসার আর্থিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোসেন এলাহী (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার সহোদর মোমেন এলাহী (৩৮)। তারা ওই এলাকার ডা. শেখ আহম্মদ বাড়ির মৃত লতু মিস্ত্রির পুত্র।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটায় হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কালা বাদশাহ পাড়া নাছির হাজীর বাড়ি এলাকায় চায়ের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এম এইচ হাসেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত মোমেন এলাহীর স্ত্রী শিবলী আক্তার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মানবজমিনকে বলেন, এলাকার মুদি দোকানের সামনে তার স্বামী মোমেন এলাহী ও ভাসুর হোসেন এলাহী দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ কয়েকটি সিএনজি যোগে প্রতিপক্ষরা এসে তাদের ধাওয়া করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়লে হোসেন এলাহী দাঁড়িয়ে গেলে প্রবাসী জানে আলমের ঘরের সামনে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। অপরদিকে মোমেন এলাহীকে তার একশ গজ দূরে সাবুর ঘরের সামনে কুপিয়ে আহত করে।
খবর পেয়ে প্রায় ঘন্টাখানিক পর তাদের উদ্ধার করে প্রথমে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে চমেক নিয়ে গেলে হোসেন এলাহীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মোমেন এলাহীর অবস্থাও আশঙ্ক্সাজনক বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় একটি মসজিদ, মাদ্রাসার আর্থিক দ্বন্দ্ব ও জমির মাটি কাটার বিরোধ এবং হতাহতদের আরেক ভাই মহসীন এলাহীকে সমাজের সর্দার করার প্রতিহিংসায় মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এম এইচ হাসেম, সুমন, কাইয়ুম, মনছুর, বাইল্লা, সাবেক সর্দার ফজল করিম এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন জানান, এ ঘটনায় এম এইচ হাসেম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সে অন্য একটি হত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে ওই মামলায় আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।