স্বামী দেশে ফেরার ৫ দিনের মাথায় লাশ হলেন ঢাবি ছাত্রী মেঘলা

কানাডা প্রবাসী স্বামী দেশে ফেলার মাত্র ৫ দিনের মাথায় লাশ হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলা (২৬)। তিনি নৃত্য ও কলা বিভাগের ২০-১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ওই ঢাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ইলমা চৌধুরী মেঘলা ধামরাইয়ের পাঠানটোলা মহল্লার মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী খসরুর তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে। অমানুষিক জুলুম নির্যাতনের পর নির্মমভাবে খুন হওয়া মেঘলার পিত্রালয়ে বইছে গভীর শোকের মাতম। তাকে হারানোর শোকে পরিবারের সদস্যরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। সংজ্ঞা ফিরেই বলছেন মেঘলাকে এনে দাও। ওর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

ওই ঢাবি ছাত্রীর শরীরে রয়েছে অসংখ্য আঘাত ও নির্যাতনের চিহ্ন। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী ইফতেখার উদ্দিন শাওনকে গ্রেফতার করেছে।

মেঘলার পরিবারের দাবি, মেঘলাকে অমানুষিক জুলুম নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবার ঘাতকদের ফাঁসি দাবি করেছেন।

মাত্র ৫ মাস আগে ইলমা চৌধুরী মেঘলা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন কানাডা প্রবাসী রাজধানীর বনানী ২নম্বর রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির মো. ইফতেখার উদ্দিন শাওনকে। বেশিদিন সুখ সইল না ইলমা চৌধুরী মেঘলার কপালে। ৫ মাসের মাথায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে প্রাণ গেল তার।

মেঘলার চাচা তেনজিন চৌধুরী বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য ও কলা বিভাগের ছাত্রী ছিল আমার আদরের ভাতিজি ইলমা চৌধুরী মেঘলা। মেঘলা খুবই নম্র ভদ্র স্বভাবের ছিল। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। আমাদের পরিবারের অমতে ভালবেসে কানাডা প্রবাসী ইফতেখার শাওনকে বিয়ে করে। তাও মাত্র ৫ মাস আগে। পরিবারের সবাই মিলে নানা অজুহাতে আমার ভাতিজির ওপর অমানুষিক জুলুম নির্যাতন চালানো হতো।

তিনি জানান, ইফতেখার শাওন কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এ নির্যাতনেই তার মৃত্যু ঘটে। তার শরীরে রয়েছে নির্যাতন ও আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে আমার ভাতিজির লাশ উদ্ধার ও স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। আমরা আমার ভাতিজির ঘাতকদের ফাঁসি চাই।

Share this post

scroll to top