দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ১৭ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দলীয় প্যাডে লেখা এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল স্বাক্ষরিত এ পত্রে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার সাত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড থেকে চূড়ান্ত হওয়া দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মী হয়েও দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় ১৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই বর্ধিত সভায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাই মিলিতভাবে চেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নের মঈন উদ্দিন (লিয়াকত) ও দেলোয়ার হোসেন (দুলাল); বরতলী বানিহারী ইউনিয়নের মো. আজিজুর রহমান, মো. হাসিম উদ্দিন, মো. রায়হান সিদ্দিকী (ফারুক) ও মো. সোহাগ; তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মো. আবুল কালাম আজাদ; মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়নের মো. সারোয়ার হোসেন নয়ন, আ হ ম শহীদুল হক, মো. নজরুল ইসলাম (খোকন) ও মীর্জা শামছুল আলম (রাহুল); সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ খান বার্কো; সুয়াইর ইউনিয়নের মো. হাবিবুর রহমান সরকার (কাঞ্চন) ও জহিরুল হক চৌধুরী হীরা; গাগলাজুর ইউনিয়নের মো. লিটন তালুকদার, মাসুদ আহমেদ ও মো. আরিফুল ইসলাম।
তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বহিষ্কার হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অধিকাংশই বিএনপির সাবেক নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে তারা দল বদল করেছেন।
মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কামাল হোসেন রতন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এরা দলের জন্য ক্ষতিকর। তাই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
চতুর্থ ধাপে মোহনগঞ্জের সাত ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট হবে। এতে মোট ২৯ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।