ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার বাকতা গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্ত:সত্বা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধীর মা আসমা খাতুন বাদী হয়ে পাশ্ববর্তী ভালুকজানা গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০) কে আসামী করে গত ১১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতিবন্ধী ঐ শির্ক্ষাথী উপজেলা সদরের এক প্রতিবন্ধী স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এস আই জ্যোতিশ চন্দ্র দেব।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বাকতা গ্রামের প্রতিবন্ধী ঐ শিক্ষার্থীর বাড়ীর পাশে তার চাচা আ: কদ্দুছের ঘরের ভিটিতে মাটি আনার জন্য ৬/৭ মাসে আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভালুকজানা গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০) আসা যাওয়া করত। প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীর মা আসমা খাতুন তার মায়ের অসুস্থতার কারনে বাবার বাড়ি গেলে সুযোগ পেয়ে শহিদুল ইসলাম প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। বাবার বাড়ি থেকে ৩/৪ দিন আগে প্রতিবন্ধী শিশুর মা বাড়ীতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
প্রতিবন্ধী ঐ শিশু শিক্ষার্থীর চাচী লাইলী বেগম জানান, ঘরের ভিটিতে মাটি উত্তোলনের জন্য শহিদুল বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। শিশুটির মা বাড়িতে না থাকায় শহিদুল ফুঁসলিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ধর্ষন করে।
ধর্ষিতা শিশুটির সাথে কথা বললে সে শুধু বেকুগাড়ীর কথা বলতে পারে।
ফুলবাড়ীয়া থানার এস আই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জ্যোতিশ চন্দ্র দেব জানান, প্রতিবন্ধী অন্ত:সত্ত্বার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম (৩০) কে আসাািম করে ওই শিশুর মা গত ১১ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।