কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে রোববার-সোমবার দুই দিন পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে রোববার আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর দিন (সোমবার) জাহাজ চলাচলের কথা রয়েছে। এদিকে ভ্রমণে যাওয়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে তিন শতাধিক পর্যটক সেখানে রাতযাপনে থেকে গেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় রোববার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পর দিন জাহাজ চলাচল আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকবাহী জাহাজগুলো পুনরায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরছে।
তিনি জানান, যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে রাতযাপনকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই বিষয়ে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দ্বীপে বেড়াতে এসে ৩শ’র বেশি পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে রাতযাপন করবেন। এই রুটে পাঁচটি জাহাজ চলাচল করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচলে আবার অনুমতি দেওয়া হবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে কয়েকশ পর্যটক দ্বীপে রাতযাপন করছেন। তারা সবাই ভালো আছেন। তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।