দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আবারও চরমে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব৷ বেজিংয়ের কড়া পাহাড়া থাকা সত্ত্বেও, সোমবার বিতর্কিত ওই সাগরে ফের প্রবেশ করল দুটি মার্কিন রণতরী ইউএসএস স্স্রুয়ান্স ও ইউএসএস প্রেবল’৷ সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, চীন অধিকৃত স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছ দিয়ে গিয়েছে গাইডেড মিসাইল সম্বলিত এই দুই মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ৷ যার ফলে আরো একবার আমেরিকার বিরুদ্ধে ওই এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে সরব হয়েছে বেইজিং৷ আন্তর্জাতিক পানি-সীমানা অতিক্রম করার চীনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন নৌ-বাহিনী৷
চলতি বছর এই নিয়ে দু’বার দক্ষিণ চীন সাগরে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল আন্তর্জাতিক মহল৷ এর আগে জানুয়ারি মাসেও দক্ষিণ চীন সাগরের পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছ দিয়ে যায় মার্কিন রণতরী ইউএসএস ম্যাকক্যাম্বেল’৷ সেবারও আমেরিকার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন৷ গত নভেম্বরে এই পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের গা ঘেঁসে চলে গিয়েছিল মার্কিন রণতরী ইউএসএস চ্যান্সেলরভিলে৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে আসছে চিন৷ ফলে তাঁদের দাবি করা সম্পত্তির পাশ দিয়ে মার্কিন রণতরী যাওয়ার ঘটনায় রাতের ঘুম উড়ে যায় বেইজিংয়ের৷ তাদের দাবি করা সম্পত্তিতে মার্কিন নজর পড়ার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি ওই অঞ্চলে পালটা রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠায় জিনপিং প্রশাসন৷
এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে যাতায়াত করেছে মার্কিন রণতরী৷ গত বছর মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডেকাটুর পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ চীন সাগরের প্রত্যন্ত স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের গাভেন ও জনশন রিফের কাছাকাছি৷ মার্কিন রণতরীকে প্রতিরোধ করতে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে লুয়াঙ্গ নামের ডেস্ট্রয়ারকে পাঠায় জিনপিং প্রশাসন৷ অবশেষে বাধ্য হয়ে পিছু হঠে মার্কিন রণতরীটি৷ এই ঘটনার পরেই চীনের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় আমেরিকা৷ চীনের এই ব্যবহারকে অপেশাদার কার্যক্রম বলে সমালোচনা করে মার্কিন কমান্ডার নেথ খ্রিস্টেনসেন৷ পালটা তোপ দাগে চীনও৷ আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পানিসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনে তারা৷